সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

বিক্ষিপ্ত - ১


কবিতা খুঁজে নিলে তোমায়
এবং হারালে বারেবার
তারপর উঠোনে কথাগাছ বুনে দিলে ,
এরপর থেকে শেষ রাতে আর কোন
পাখি নেমে এলো না ।

কবিতার ফুলে ফুলে ভারী হয়ে উঠেছে কথাগাছ ।
এবার কবিতার সাজিতে তুলে না দিলে
আবার অপেক্ষার পরের বছর ।

এতদিনে অভ্যস্ত হয়ে যাবার কথা ছিল ,
যদি কবিতা না দিলে প্রাণে ।

Labyrinths of mutual Nothingness ( পারস্পরিক অনস্তিত্বের গোলকধাঁধা )


আছে , অথচ কেউই নেই ।
তারপর ... ?


অতঃপর তারা ঠিক করল ছায়াসঙ্গী হবে ,
রোজ মাসে একটি করে তারা জমাবে আর,
ঝুলিয়ে দিবে দুই মানুষের মাঝে চুপ করে থাকা
অসীম আকাশে ।


প্রখর রৌদ্রের জাল বুনে তারা একটি দুটি করে বেঁধে দিলে
তারাগুলি । যেন পুড়ে যাওয়া রৌদ্রের সাথে সাথে নিভে যায়
তারাদের বিগত আবেগ ।

ক্ষণে ক্ষণে তারাদের বুকে জ্বলে উঠতে লাগল রাগ 
আর ছেলেমানুষি কথার ভিতরের ব্যাকস্পেসে
ভারী হয়ে ওঠা হলুদ হলুদ কষ্টে ।
কেবল রৌদ্রের রঙের সাথে মিলে গেল বলে
ওরা কেউ দেখেও দেখলে না ।


কথা রইল , একদিন বড় একঘেয়ে লাগলে তারা
ভাগাভাগি করে নিবে তারাগুলো আধেক করে ।
"
তুই বরং ওই হলুদ তারা টা রেখে দে,
তোর দুঃখু করা স্বভাবের সঙ্গে মানিয়ে যাবে "
মনে মনে , " তাহলে ঐ মাথামোডা তারাটাকেও রেখে দিতে দোষ কি ছিল !"
অথচ তারা কেউ কিছুই বললে না ।
দুজনেই গেলে ফিরে ?

তারপর ...?

একদিন  অনন্ত আকাশের ফাঁক পেয়ে
বাঁশি বেজে উঠত ,
ঐ না-থাকবার গোলকধাঁধায়


এরপরের গল্প টুকুন তারা তাদের মতন করে লিখে নিক ।




মঙ্গলবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৫

জানি দেখা হবে

" প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখেই দেখেছিলাম আমার ? "

কখনও তাকাইনি ঐ চোখে,
লুকিয়েছিস তুইও ঐ চশমার ফ্রেমে ।

তবু একবার ঝিরিঝিরি করে হলুদ রাত নেমেছিল বুকে
মৃদু পাগলামির সুখে আর অন্তঃবর্তী অনুপম শূন্যতায় ।


সুর ছেনে এনেছিলি তুই বহু পথ হাঁটি
আমিও নিয়েছিলাম রোদ  মুঠি মুঠি করি ;
সুরে ভাবি কেবল আর অসুরেতে জড়াই ,
কাটাকাটি করে কেবল নিজেদের ভাঙ্গাই ।


হলুদ কষ্টে - সুখে সে রাত জেগে রয় মনে,
আরেকটিবার আসতে কি পারে ফিরে ?
দেখা হবে কি হবে না ...
আবার এ পৃথিবীর পথে !

ওহে হলুদ জুড়ি,
তখন আবারও কি উড়াবি
তোর ঐ হলদিয়া ঘুড়ি  !?