প্রভাতের রবির কিরণের মিছিলে
জানালার কালো কাচের বেরিকেড
টেনে দেয় দিবায় নিদ্রাতুর নিশাচর প্রাণী ।
অসূর্যস্পশ্যা হয়ে কংক্রীটের মত ধূসর
হয়ে গেছে ওর বর্ণ , ওর লোহিত
কণিকাগুলো রবিকরণের দুর্দমনীয় তৃষ্ণায়
বহু বছর আগেই রূপান্তরিত মরুর তপ্ত
বালুকাকণায়---
তাতে নিযুত বছরাধিক পরের পলমাত্র
বৃষ্টির জল ওকে ভেজাতে পারে না বরং
নিজেই যায় শুকিয়ে বাষ্প হয়ে ।
ওর বেগময় নিদাঘে ওর আবেগ
লোকচক্ষুর কাছে মরীচিকা হয়ে ধরা দেয়...
তৃষ্ণার্ত পথিক বহুদূর হেটে এসে ধ্বসে পড়ে
ওর নির্মম বক্ষ' পরে । তবু নির্বিকার ও....
গত জন্মের ভুল যে চিতার অনল জ্বেলেছিল
ওর মাঝে, তা যেন অনির্বাণ.....
পরজন্ম হল ওর এক অতিকায় বামন তারা
হয়ে, আপন শক্তিতে দাহ হয়ে একদিন
মৃত্যু নেমে আসবে ওর কেন্দ্রে , কিন্তু ততদিনে
ও ক্রমশ সম্প্রসারণের পরিক্রমায়
চলে গেছে তোমার গ্যালাক্সির বাইরে ......
এসব নেহাতই ওর ভবিষ্যত ...
আর বর্তমান ?
কাঁধে ওর সফলতার হিমালয়
তবু ক্লান্ত ও ; হিমালয়ের জন্য নয় ;
ক্লান্ত ওর নীল মাছরাঙ্গাটিকে হারিয়ে
শারদ প্রভাতে বিচিত্র অবয়ব সাদা মেঘের
রাজ্যে ঘুরে বেড়ায় ও , ওর নীল
পাখিটির খোঁজে.... আর এভাবেই গল্প
বদলে যায়, তবু কেউ দেখে না আর
কেউ বোঝে না ....রক্তের ক্লান্তি ভেসে
যায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সুনিশ্চিত তাড়নায়....
অতঃপর ক্লান্তি নিয়েই আজ বিকেলে
নিজেকে না জানিয়েই ও বের হয়
নিজের ভেতর থেকে , হারিয়ে যায় চারপাশে ,
নীল পাখি বা নীলকণ্ঠের খোঁজে নয় ; সেই
ছোট্ট ঘাসের কুটিরে যেখানে একদিন ওর
বুকে এসে নামবে একটি নীল অপরাজিতা !!!