শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৩

ইচ্ছা-ঘুম

বিনিমিত শেষ সুর দুটো পটে তোলা থাক,
একের ইচ্ছায়, দুইয়ের ঘুমে গড়া --
ইচ্ছাঘুম ।

দূরবীক্ষণের দুটো লেন্সে দুজনে উঠে বসি ,
একে অবাস্তব  হয়ে দুইয়ে বাস্তব বিম্ব গড়ে
শূন্যে ।

নীল পাড় খসে গেছে,
খেয়ালের নীল খামে খামখেয়ালি
কথা গোঁজা আছে । এইসব ভার্চুয়াল
তরঙ্গ গাছ কেটে ফেললে
বাতাস বয়ে নিয়ে যাক একটাই সুর,

দেখা হবে ইচ্ছা-ঘুমে , এখনও যে দেখা
হওয়া বাকি আছে ইচ্ছে আর ঘুমের ।  

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৩

একাদশী স্বপ্ন

ক্বদাচিত দুই-একটা রৌদ্রের দিন নজরে আসে ।


রাতে ঘুম হলে স্বপ্নের ট্রেইলার নামে , যেখানে
উত্তাল পদ্মার পাড়ে বসলে বৃষ্টি নামে ; সাদা কাগজ
বাঁচাতে মাথার উপরে ধরা ভাঙ্গা ছাতা দিয়ে যখন
চুল ভিজে তখন আর ভাঙ্গা ছাতা নিয়ে মান-অভিমান
হয় না ।     


বৃষ্টিতে প্রতিধ্বনি ভিজে যায় , তাই
স্বপ্ন ছেড়ে ভিজে আসি ।
বাস্তব কে দুইদিকে টানতে টানতে
অট্টহাসি আসে ,
অনেকগুলো গোল গোল মিষ্টি ওষুধ ,
কোন এক নারীকে ( প্রচলিত মা কে )
কপালে জলের ছোঁয়া দিতে পেয়ে
আবার চোখ বুজব ।


এরপর বিকেল চারটায় আবার সাদা
দেয়ালে রৌদ্রকে পিছলে যেতে দেখব ।
সেবার যেন কেউ এক কাপ চা হাতে শুধোন,
"তোমার তো চায়ে বমি হয় ,
আমার সাথে খেয়ে দেখবে এক কাপ ? "

বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৩

সফেদ খাম ?


তার নিজের হাতে নীল রং করা , নীলাকাশ বা
নীল সমুদ্দরের নীল না ; নিজের প্রথম রংবাক্সের
সেই খয়ে আসা এবড়োথেবড়ো রংপেন্সিলের নীলে ,
দু-হাত নীলে রাঙিয়ে , বাবার ড্রয়ারে পাওয়া সফেদ
খামটাকে মাখিয়ে গড়া তার প্রথম ও শেষ নীল খাম ।
কয়েক টাকায় কেনা যেত আনকোরা নতুন খাম ,
তবে কিনা তা নীল করে রাখা যেত না , নীলাকাশ
মেঘলা হলে , বৃষ্টি নামলে ,নীল সমুদ্রে ঝড় উঠলে
তাকে যে আর চিরন্তন নীল দেওয়া যেত না ,
উত্তাপে নীল , আর্দ্রতায় নীল, শুষ্কতায় নীল , ঘামে নীল ,
হিমে নীল , বিষে নীল , সুখেও নীল----
যেত দেওয়া ?

তাই আটপৌরে নীল হাতে গড়ে দিল নীল রং
একখানা সফেদ খামে ।

নীল খামের দুটো এক ; তার প্রেরক --- নীলরঙা হাত তার,
আর একটি ঠিকানা ...
মানুষের কিংবা ঘরের । সেই একটি মানুষ কেবলি তার ঘর পাল্টায় ,
বা সেই একটি ঘরে সেই মানুষটি আর থাকে না ।
তাই নীল খাম আর ঠিকানায় পৌছে না ;
নীলরং হাতে নিয়ে মনে তার প্রশ্ন জেগেছিল ,
ঠিকানা খুঁজে পেতে পেতে তার নীলখাম সফেদ হবে না তো ?

না,
সেই নীল হাতে গড়া নীল খাম সফেদ হবার নয় ।