যে বিকেলে সব আলো ধ্বসে পড়েছিল ,
প্রথম বিরামের সূত্রপাত কমা দিয়ে
আর তার পরিণতি উত্তুংগ দাড়িতে ।
মাঝে বিসর্গের দুটো শূন্যতায় ভর করে
যেসব বিসর্গ আর শূন্যভাব চেপে বসেছিল
সেইসব রোদ্দুরের ভেলায় ,
তাকে দেখে বিস্ময়বোধে বিস্ময়সূচকতা জাগে
আলোয় ঝিমিয়ে পড়া এঞ্জেলোপুলিসের সেইসব
উল্টো হয়ে ঝুলে থাকা মৃত ভেড়ার দলের ।
এইসব দিন শেষে আমি যখন নামতে থাকি
আমার ভেতরের ঘুরানো সিঁড়ি বেয়ে আমার ভেতরের
সমতলে , আর আমার চারপাশে ভেতরের আয়না জুড়ে
পরিবর্তনকারী প্রভাবক আর তীব্র রাসায়নিক পদার্থের
ধাঁচে আমার বদলে যাওয়া প্রতিবিম্ব । আমারই অবয়ব
শত সহস্র । আমারই প্রশ্বাস ভেজা আর্তনাদ আর কতিপয়
প্রতীক্ষাজনিত স্থবিরতা ; যদিও আমি জীবজ , জৈবিক,
যাবজ্জীবন কোন গতিরই নিরীক্ষক নই ,শিষ্য নই ।
আমার বুঝতে পারা নিজেকে না বুঝার , নিজের সংখ্যালঘু
অস্তিত্বের সাথে সংখ্যাগরিষ্ট অস্তিত্বকে মানিয়ে নেবার ,
তবু দিনশেষে নামহীন ক্ষণিকতায় আমিই আমায়
সর্বোচ্চ গ্রহণকারী , সর্বোচ্চ ত্যাগকারী ।