দুপুরটা আজ ক্লান্ত ছিল না,
ছিল না হাফিয়ে তোলানো গুমোট ভাব
আলসেমিকে প্রশ্রয় না দিতে ো হাতে
তুলে নিয়েছিল মন্থন দণ্ড
তবু এলোকেশে একটু
এলিয়ে পড়ে ও শূণ্য বিছানায়; শিথিল
হাতখানিকে ও ছড়িয়ে দেয় ডানার মত করেই,
তারপর চোখ বুজে আসে ওর, রাত্রি জাগরণের
ক্লান্তিতে নয় –ওর অবচেতন মনের ক্ষণিক ক্ষমতা লাভে।
ভাবে ও ওর পূর্বজন্মের কথা; যখন ও ছিল
কয়লাখনিতে –না, না, কঠিন, চোখধাঁধাঁনো হীরা হয়ে নয়,
আজকেরম মত কয়লার রূপভেদেই জন্ম ওর। সেই জন্মলগ্ন-
যেদিন খনির অন্ধকার থেকে পৃথিবীর আলো দেখেছিল ও
তখন থকে অদ্যাবধি পড়ে আছে ও একটি
তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অন্ধকার সেলারে –অগণিত আরও
কার্বনদের সাথে। ওদের গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে
স্বর্ণ মৃত্তিকার গোল্ডেন ট্যাগ , ওদের মস্তিষ্ক থকে সব আবেগ,
অনুভূতি, কথা কেড়ে নিয়ে গেঁথে দেওয়া হয়েছে একটি লক্ষ্য-
’’নিঃশেষ কর নিজেকে বেগবান সভ্যতার জনক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ‘’
সেই লক্ষ্যর জের ধরে ওর মনে পড়ে কিভাবে গতকাল
ওর মমতাময় কণ্ঠস্বর নির্মম রূঢ় হয়ে উঠেছিল
ওর খাপছাড়া বন্ধুটির প্রতি ......
মনে পড়ে বিগত বসন্তের সব অনুভূতিকে কিভাবে ও নিজে
অট্টহাস্যে
কংক্রীটের দেয়ালা আছড়ে মেরেছে ।
কিন্তু এসবই কি পেরেছে গত কার্তিকের এই দিনে
ওর আকুলতাকে হত্যা করতে ???
চোখ বুজে এসবই ভাবছিল ও –আর
উত্তরটাও পেয়ে যায় ও, না পারেনি -
কারণ ও আত্মসংহারী হবার বহু আগেই
ওর সব আকুল আবেগময় অনুভূতি আশ্রয় নিয়েছিল
ওর অবচেতন বা অচেতন কার্বন পরীর মাঝে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন