আশৈশব অভ্যস্ততায় রোজ
সকালে ঘুম থেকে জাগে ও
কিন্তু আজ আরও একবার জাগল ও
নিজের মাঝে; আত্মোপলব্ধির চেয়ে
অধিক নিঃসংগতায় , আত্মচয়নে।
ওর স্থূল তনুর আশ্রমে পালিত
মাংসল হৃৎপিণ্ডের অন্তর্বর্তী করিডোর জুড়ে
গম্ভীর নিঃসংগতার নীরব বচন,
ওকে কাঁদায়ও না, হাসায়ও না-
বরং মাতাল এক তরলে ভাসিয়ে রাখে ওকে ।
ঐ রসে বুদ হয়ে ও নিজেকে
গুটিয়ে নেয় একটি মেকি খোলসে।
বন্ধুত্বের শূন্য করিডোরগুলো দেখে
আজ ওর মনে কোম হাহাকার জাগে না,
বরং ওর দৃষ্টিতে ফুটে উঠে
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলের দিগন্তবিস্তৃত
ধূ ধূ মাঠের নিঃসঙ্গতা ......
আধো প্রস্ফুটিত প্রণয়ের স্মৃতি,
মাতাল উদ্দামতায় রসাতলের রস আস্বাদনের
তীব্র ক্ষীপ্র সুখ আজ আর ওকে জোঁকের
মত আঁকড়ে নেই । উদ্দাম উচ্ছৃঙ্খল আবেগের
বিহ্বলতায় পরিবার-স্বজন সব বহু আগেই
হুহু করে পেছনের স্টেশনে ফেলে এসেছে ও।
তাই একা রাতের টেবিলে
হাতের’ পরে মাথা রেখে ও হারিয়ে যায়...
আত্মকেন্দ্রিকতার বিবরে......
আশৈশব অভ্যস্ততায় কাল সকালেও
ঘুম ভাঙবে ওর কিন্তু ততক্ষণে ওর
মণিহীন সাদা চোখ থেকে সব কথা,
ভাষা, আবেগ হারিয়ে গিয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন