কোন এক বিগত সন্ধ্যায় বেলাভূমিতে লিখেছিলাম আমার প্রথম গল্প
সেদিনের প্রাক-সন্ধ্যার এক সমুদ্র স্রোত ধুইয়ে দিয়ে গেল তা,
আর রেখে গেল একটি অদ্ভুত নীল শঙ্খ !
আমার নিউরনের সমস্ত অনুরণন, আমার প্রথম উপার্জন,বিগত সব সঞ্চয়
একত্র করেও সেই শঙ্খের বিনিময় হল না সমুদ্রের সাথে !
হয়ত আমি বণিক ছিলাম না আড় জন্মে , তাই এজন্মের প্রথম বাজারে
সেই নীল শঙ্খের বিনিময় আর আর আমার সাথে হল না !
তারপর বহুবছর আমি ফিরে যেতে চেয়েছি সমুদ্রে , শঙ্খের সেই নীল ডাক
প্রতিক্ষণ আমার নিউরনে আমার স্নায়ুতে আমাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ,
আর অলব্ধ যন্ত্রণায় আমি আমার ভিতরে কাতরেছি !
এরপর,
সেই অভূতপূর্ব দুপুর ... আমার চারিধারের সমস্ত সজ্জার আর শয্যার
মাঝেই পেলাম সেই নীল শঙ্খের ডাক,
আমার সমস্ত ইন্দ্রিয় বলে উঠল সে আসছে
আর,
তুমি এলে !
আমার প্রথম মৃত্যুর আগে তোমাকে নিস্তব্ধ দেখেছিলাম
আর দ্বিতীয় জন্মে তোমাকে দেখলাম মুখর,
তাই আমার ঠোঁটে আর ভাষা ফোটে না ,
তা যেন চৈত্রের দুপুরে চাতক পাখির মতই
অপলক তৃষ্ণায় থাকে একরাশ উত্তাপ নিয়ে বেঁচে !
সংখ্যারেখায় আমরা বাঁচি দুটো বিন্দুর মত অনিয়ত অধ্রুব নিত্যতায়
আমাদের মাঝের দুই সমকোণ শূন্য ছুঁই ছুঁই করেও
একটি ভগ্নাংশের বাধায় যেন শূন্যে নেমেও নামে না
সমাপতনের প্রাক- মুহূর্তেও সব অঙ্ক নামে বিচ্ছিন্ন পতনে !
আমার বিচ্ছিন্ন আবর্তন আজ টুকরো টুকরো করেই তোমায় ঘিরে,
যেখানে সব পৃথিবীর সমস্ত স্নায়বিক কেন্দ্র এসে মিশেছে
কিন্তু আমি প্রায়ই হারাই তোমার স্নায়ুর রেখা
বিচ্ছিন্ন ক্লান্ত অবসাদে !
আমি জানিনা তুমি উজ্জ্বল সূর্যের মত ধ্রুব না কি
ধ্রুবতারার মত উজ্জ্বল !
তবু আমি জানি আমার জগতের নিত্য আলো মেলে কোথায় ...
এটা ''শেষ বিকেলের গল্প'' ছিল না , কারণ এরপরও
রাতের আকাশে ধ্রবতারা জেগে থাকবে ...
থাকবে না কেবল অনির্ণেয় অন্তরক !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন