চোখ আমার একান্তই ব্যক্তিমালিকানাধীন বীক্ষণ যন্ত্র ...
লবণাক্ত অ্যাকুয়াস হিউমারের আধার , এই খুদে সমুদ্র দিয়েই
আমি মানুষ দেখি, দেখি সম্পর্ক ...
অণুবীক্ষণ তার পূর্ণতা পায় যাবতীয় আণবিক, পারমাণবিক ও
পরমানবিক পর্যবেক্ষণে । এই মানবীর মানবীয় চর্মচক্ষুতে
প্রতিদিন অজস্র অণু অনুরাগ আশ্রয় নেয় মানুষ আর সম্পর্ককে ঘিরে ...
দূরবীক্ষণ অদূর ও সুদূরের সুলভ ও দুর্লভকে কেবলি অকারণ বড় করে ,
তার সামান্য ''সু' ও অসামান্য অপরিমিতি নিয়ে মরীচিকাময় হয়ে উঠে ...
আর নভোবীক্ষণ আমাকে দেখায় মহাশূন্যের চিরায়ত আঁধারের বুকে
চরের মত জেগে থাকা নক্ষত্রের চিরদৃশ্যমান অস্পৃশ্য অধরা নৈকট্য ...
শেষটায় প্রায়ই হাত বাড়িয়ে ঠেকে শূন্য ,তাই মহাশূন্যের শূন্য অংকের
মালিকানা পেতে চেয়েছিলাম ।
অতঃপর বীক্ষণ যন্ত্রে চোখ রেখে দূরে চলে যাওয়া চরিত্রকে
কিছুতেই কাছের করে দেখতে চাই না ,
অনাদি মুহূর্তে দৃষ্টিহীনতা , ক্ষীণদৃষ্টি আর দৃষ্টিভ্রমের সব উপসর্গকে এড়িয়ে
একটি আগুনে পাথরকেই করেছি আমার চোখের মণি ,
তা আমার মানবীয় মনের অন্তর্দৃষ্টি ...যেখানে সতেজ থাকে
মানুষ, সম্পর্ক, সত্য, আলো ,অনুভূতি আর রুদ্র রৌদ্রের তেজোদ্দীপ্ত জ্যোতি ...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন