সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৩

''অণু'' রক্ত



ভাষাকে হারিয়ে শব্দকে খুঁজতে গিয়ে সে
আবিষ্কার করে শব্দদের শব
আর তার বিপুল নীল তিমি অবয়বধারী সত্ত্বার
মাঝে আটকে পড়া পিপড়েরূপী সত্ত্বা
আর তাই বেরুবার পথ খুঁজে পায় না ।
তাই উট পাখির স্থূলত্বকে বাদ দিয়ে
সে আজ খুঁজে নিতে চায় বুলবুলি যুগলের চপলতা
যেখানে রৌদ্র কণা শিশির জলে রংধনুর সাত রঙ
নিয়ে আছড়ে পড়ে, আজ সেই ক্ষুদ্র দর্পণে
তার অবয়ব ধরা দিতে চায় কোন মানস সরোবরের
স্ফটিকস্বচ্ছ জলকে ত্যাজ্য করে ।
শ্রাবণ মেঘের ঘনঘটা কে পাশে সরিয়ে রেখে
সে আজ খুঁজে নিতে চায় হেমন্তের লঘু কুয়াশা
যেখানে দিনের শেষে পিঙ্গল আকাশ বহুল
প্রতীক্ষিত মিলনের সাঁঝবাতি জ্বালে স্বপ্নের
সোনার কাঠির পরশ বুলিয়ে , আজ সেই প্রিয়মিলনের
আকাঙ্ক্ষায় নববর্ষা নামে তার হৃদয়ের সুতীব্র
কুলীন স্বতন্ত্র বিচ্ছেদের 'পরে ।
বিশ্বপৃথিবীর সমস্ত নক্ষত্ররাজির দুর্লভ মোহ ত্যাগ করে
সে আজ ভালবাসা আর স্বপ্ন-আশার মৃদুমন্দ প্রদীপকে
মেঘমন্দ্র স্বপ্ন চোখের প্রত্যাশায় আঁকড়ে ধরে ...
প্রিয়ের প্রতি অনুরক্ত হৃদয়ের ''অণু'' রক্ত ক্ষরণ
আজ শ্বেত শুভ্র বকুল ফুলগুলোকেও গোধুলির আবীরের
ছটায় রাঙিয়ে তোলে ...
নীলকণ্ঠের সুতীব্র বিষের নীল আবেগ ত্যাগ করে
পাথরের বেদীমূলের উপর বৃন্তচ্যুত রক্তলাল জবাটির
তপ্ত লোহিত বর্ণকে সে আসীন করে সমগ্র
''অণু'' রক্ত স্নাত আত্ম বিচ্ছেদের পরে ...
আর খুঁজে নেয় শুভদৃষ্টিতে তার সমগ্র অমঙ্গলের মঙ্গলকে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন