বিহ্বলতার শেষ প্রান্তের হাতছানিতে অবশেষে
ধ্যান ভাঙে সহস্র বছরের জটাধারী স্থবির সন্ন্যাসীর ;
মুদিত চক্ষু উন্মীলিত হওয়া মাত্রই কোলের 'পরে
ঝরে পড়ে চোখের উপর জমে থাকা
শতাব্দীর রাশিকৃত ধুলো ;
এখন তার জটাজূটের অধিক জটিল বিষয়েও
''টিকটিক'' করে সায় দেয় তাসের ঘরের
দেয়ালে ঘুরে বেড়ানো টিকটিকির দল ;
তার মেঘমন্দ্র তপস্যাকে দৃষ্টিত্যাজ্য করে
তার আসন সম্মুখে
রাজ্যের ভাগাড় এনে স্তূপীকৃত করে
শহরের সব ছিন্নবস্ত্র আবালবৃদ্ধ টোকাইয়ের দল ।
আর শিকারী মাকড়সাটি সন্ন্যাসীর স্থবির দেহকে
আঁকড়ে ধরে ছড়াতে থাকে তার মোহমন্ত্রের জাল;
কৈলাসে সহস্রাব্দের তপস্যামুগ্ধ অসহনীয় নীরবতা আজ
খানখান হয় ঠুনকো মানবীয় হাতের নিমেশমাত্র কড়াঘাতে
আর তার জটাজূটে আখড়া গড়ে তোলে রাজ্যের
সব ইঁদুর , ছারপোকা, কুকুর আর ভেকের দল ।
ত্রিকালে ত্রিমূর্তির বহুরূপ দর্শন শেষে ধর্ষিত সন্ন্যাসী ভাবে
যদি বিগত অতীতের ন্যায় বিগত হওয়া যেত
আরো একবার; কিন্তু ততদিনে সন্ন্যাসী তার উত্তুংগ সম্ভ্রম হারিয়ে
নেহাতই এক সাদামাটা আত্মসমর্পিত মূক গৃহী ... ।
তোমার লেখা বেশ ভালো... একটা আলাদা গাম্ভীর্য আছে যা টানে... চালিয়ে যাও ...
উত্তরমুছুন